• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

১২-১৩ নভেম্বর ফের অবরোধ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
১২-১৩ নভেম্বর ফের অবরোধ

আগামী রোব ও সোমবার (১২ ও ১৩ নভেম্বর) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)।বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করার জন্য এলডিপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এক দফা দাবিতে এটি হবে চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি।

একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বাদ জুমা ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যেসব নেতাকর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন এবং আন্দোলনরত যেসব পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া মাহফিল হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। ন্যায় বিচার ও মানবাধিকারকে নির্বাসিত করেছে। জনগণকে জানোয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। বিরোধীদলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবি মামলা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। টাকা পাচার অব্যাহত রয়েছে এবং দুর্নীতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে।’’

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিএনপির সব প্রবীণ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রেখেছে। অনেকের মিথ্যা মামলায় সাজাও দিয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, এই বিরোধীদলের নেতারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত। জনগণের মানবাধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, ন্যায় বিচারের অধিকার এবং সর্বোপরি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করছে। মানুষকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা করছে। এটাই তাদের একমাত্র অপরাধ। নেতারা শুধু তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই এই দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। তারা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, দেশকে প্রকৃত অর্থে স্বেচ্ছাচারমুক্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘দেশের জনগণকে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। আজ বেগম খালেদা জিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় বিদেশে নির্বাসিত। তাহলে প্রশ্ন হলো, দেশ কি এইভাবে এক দলীয় শাসনের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে নাকি দেশের জনগণকে গাঁ ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। দেশকে রক্ষার কাজে নিজকে নিয়োজিত করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশকে নিরাপদ করতে হবে।’’

‘‘বর্তমান সরকারের অদক্ষতা ও অব্যবস্থার কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারণে কৃষক, শ্রমিকসহ শতকরা ৮০ ভাগ গরিব মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে। তারা অস্থিরতায় ভুগছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। দয়া করে তাদের কথা ভাবুন। মেহেরবানি করে বসে থাকবেন না, একবারের জন্য হলেও দেশের ব্যাপারে চিন্তা করুন’’ যোগ করেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, ‘‘যদি আপনারা (দেশবাসী) মনে করেন আমরা (বিএনপি ও শরিকদের আন্দোলন)  সঠিক পথে আছি, তাহলে মেহেরবানি করে কিছু দিনের জন্য গাড়ি বের করবেন না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করুন। প্রয়োজনবোধ করলে আমাদের কর্মসূচিতে যোগদান করুন। স্বাধীনতা হুমকির মুখে, চুপচাপ ঘরে বসে থাকার আর সময় নেই। আল্লাহর নিকট আমাদের সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। একদিন না একদিন সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। সরকারের ভাষায় জানোয়ারের মতো মৃত্যুবরণ করে কী লাভ।’’

Link copied!