• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হোলি আর্টিসানে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সাত বছর আজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৩, ১২:৪৯ পিএম
হোলি আর্টিসানে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সাত বছর আজ

ঢাকার অভিজাত এলাকা হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের সাত বছর পূর্ণ হলো আজ ১ জুলাই। ২০১৬ সালের এই দিনে রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান ২ এর লেক পাড়ের হোলি আর্টিসান বেকারিতে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা করে জঙ্গিরা। এতে দেশি-বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হয়।

সেদিন রাত আটটা ৪০ মিনিট থেকে ১২ ঘণ্টা ক্যাফেটি অবরুদ্ধ করে রাখে জঙ্গিরা। অবরুদ্ধ এই সময়ে একের পর এক চরম নৃশংসতায় হত্যাযজ্ঞ চালায় জঙ্গিরা। মুহূর্তেই গণমাধ্যমে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে দেশবাসী।

সেদিন জঙ্গিদের নৃশংসতা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ হারান পুলিশের ঊর্ধতন দুই কর্মকর্তা। এরপর সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় ৫ জঙ্গি। জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার হয়ে নিহত হয় ৯ ইতালিয়ান, ৭ জাপানি, এক ভারতীয়, এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান এবং দুইজন বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে বাংলাদেশে সংগঠনটির উপস্থিতি অস্বীকার করে সরকার।

নৃশংস ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং একজনকে বেকসুর খালাস দেয়। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মামলায় ৭ জনের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। এই আসামিদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পেয়ে যায়।

দেশের ইতিহাসে জঘন্য সেই হামলায় জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে সেদিন প্রাণ হারান বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।

সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকূল ইসলাম উজ্জল। এ ছাড়াও ওই হামলার সংশ্লিষ্টতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় আরও আট জঙ্গি নিহত হয়।

অপরদিকে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিম অভিযোগ থেকে মুক্তি পান।
নৃশংস সেই হামলার ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার এসআই রিপন কুমার দাস। মামলা তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই মামলাটি আজও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।

Link copied!