• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৮:৪৭ পিএম
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত : তথ্যমন্ত্রী

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে উন্নয়নের পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “বিএনপি ও তার মিত্ররা যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে, সেই বিষয়টি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সামনে তুলে ধরেছি। এগুলো যে উন্নয়নের প্রতিকূলতা, সে বিষয়ে তিনিও একমত পোষণ করেছেন।”

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জাপান চায় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “আমার সঙ্গে আলাপচারিতায় ইতো নাওকি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।”

জাপান-বাংলাদেশ মিত্রতার ৫০ বছর উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে জাপানের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান। আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছি। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে জাপান আগ্রহ দেখিয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ দিকে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের ভূমিকার জন্য এবং স্বাধীনতা অর্জনের পর আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের যে ভূমিকা, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সফর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ সফর এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। সুতরাং সফর নিয়ে আলোচনার বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করবে।”

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি টেলিভিশনে দেখেছি, বিকল্প প্রস্তাব পেলে তারা সেটি নিয়েই কাজ করবে। হ্যাঁ, বিকল্প তো আছে। জনসভা তো হয় ময়দানে। জনসভা তো রাস্তায় হয় না। গাড়িঘোড়া বন্ধ করে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ না।”

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের জনসভায় একটু ভোগান্তি হলেই তো কয়েকটি পত্রিকা লেখে যে ‘জনসভায় মানুষ হয়েছে, তবে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে’। সেই পত্রিকাগুলোকে এখন বিএনপির রাস্তায় জনসমাবেশ করতে চাওয়া নিয়ে লিখতে দেখি না।”

Link copied!