• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ওবায়দুল কাদেরের প্রত্যাশা, সীমারেখা মেনে চলবেন পিটার হাস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম
ওবায়দুল কাদেরের প্রত্যাশা, সীমারেখা মেনে চলবেন পিটার হাস
ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছবি : সংগৃহীত

পিটার হাস একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার সীমারেখা মেনে চলবেন বলে প্রত্যাশা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। তাকে নিজেদের পক্ষে চায় না আওয়ামী লীগ। তবে তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিলে সেটাও প্রত্যাশিত নয়।”

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব’—ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা বলেছে, আওয়ামী লীগের চাওয়াও এক। ভালো একটা নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা চায় আওয়ামী লীগ।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছড়ানো হয়েছে...সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতিমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।”

সেতুমন্ত্রী বলেন, রওশন এরশাদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার দল নির্বাচন করছে। এটা জাতীয় পার্টি নির্বাচন বয়কটের মধ্যে পড়ে না।

তিনি বলেন, জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে। জোটও ভেঙে দেওয়া হয়নি। শরিকদের হতাশ করা হয়নি। এখনো আসন বণ্টনের সুযোগ রয়েছে।

তৃণমূল বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ চমক দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আরও চমকের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

জোট নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই বলে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিজয়যোগ্য প্রার্থী না হলে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না এটি স্পষ্ট। নির্বাচনে শরিকদের হতাশ করা হবে না, এখনো সময় আছে। জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আসন বন্টনের সুযোগ আছে। জোটও ভেঙে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত করছেন. নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদেরকেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা হঠাৎ করেই গর্ত থেকে বের হয়। বিএনপির শেষ কথার পর আওয়ামী লীগের কোনো আহ্বান থাকতে পারে না।”

Link copied!