• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক : ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম
বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক : ড. ইউনূস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা স্থগিতের জন্য বিবৃতি দেওয়া বিশ্বনেতাদের আইনজীবী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ব্রিকস বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের কোনো চিন্তা ছিল না। এ কারণে সদস্য হওয়ার চেষ্টাও করিনি। চাইলে পাব না, সে অবস্থাটা আর নেই। কিন্তু প্রত্যেক কাজের একটা পদ্ধতি আছে। একটা নিয়ম আছে। আমরা সেটা মেনেই চলি।”

তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, তিনি আমাকে বললেন যে ব্রিকস সম্মেলন করব। সে সময় তিনি জানালেন যে তারা কিছু সদস্য বাড়াবেন। আমাদের মতামত জানতে চাইলেন।‘আমি বললাম এটা খুবই ভালো হবে। ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন থেকেই এই পাঁচ দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ ছিল এবং আছে।”

ড. ইউনূসের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকত আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এছাড়া আমাদের সব কিছু আইন অনুযায়ী চলে। কেউ  যদি ট্যাক্স না দেয়। আর যদি শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। আর লেবার কোর্টে মামলা হয়, আমাদের কী সেই হাত আছে মামলা বন্ধ করে দেব?”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই মামলাটি চলমান। আমাদের দেশে আমরা চলমান মামলা নিয়ে আলোচনাও করি না। সেখানে বাইরের থেকে বিবৃতি এনে মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার? আমার কী অধিকার আছে? আমার সেই ক্ষমতা আছে? জুডিশিয়াল তো স্বাধীন। আমরা তো হস্তক্ষেপ করতে পারি না।”

শেখ হাসিনা বলেন, “যারা বিবৃতি দিয়ে তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বিচার স্থগিত করতে বলেছেন, তাদের বলছি বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক, এক্সপার্টরা দেখুক অনেক কিছু পাবেন। আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সব কিছুই আইন মতো চলে।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “দুর্নীতি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান করতে বলেছেন, কিন্তু দুর্নীতিবাজ পছন্দের লোক হলে আবার এগুলো নিয়ে কথা আসছে। কেন? আইন তো তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিবৃতি না দিয়ে তাদের ক্লায়েন্টের জন্য অভিজ্ঞ লোক পাঠাক। তারা কাগজপত্র ঘেঁটে দেখুক, এটা আসলে কী? মামলা তো আমরা করিনি। এনবিআর থেকে আয়কর ফাঁকির মামলা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত লেবাররা মামলা করেছেন।”

গত রোববার প্রধানমন্ত্রী ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে দেশে ফিরেছেন।

তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!