আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির দায় সরকারের নয়, যারা নির্বাচনে বাধা দিয়েছিল তাদের জন্য। তবে ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ।”
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইটে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতেই রাজনীতির ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফির পরেই বিএনপির ঘুম হারাম।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। অবাধ শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা চায়, তাদের ভিসানীতি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। তারা এখন হতাশা থেকে সবকিছুতেই ইস্যু কিংবা আনন্দ খুঁজে বেড়াচ্ছেন।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভিসানীতির বাস্তবায়নের বাস্তবতা দেখা যাবে। গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বিএনপির ইচ্ছায় কি নির্বাচন হবে কি হবে না?”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগ চায় বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনে আসুক। তবে নির্বাচনবিরোধী সব কিছু জনগণ প্রতিহত করবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে দেশকে সংঘাতের ঠেলে দিচ্ছে বিএনপি।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নিয়মে ভোট দেবে দেশের জনগণ। এখানে কেউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেটি তাদের বিষয়। কেউ এলে তাদের সহায়তা করা হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিএনপি মরণ কামড় দিতে গিয়ে নিজেরাই মরার দশায় পড়ে কিনা সেটিই দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগের মনোবলের কোনো ঘাটতি নেই।”