• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

শপথ নিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ১০:২৯ এএম
শপথ নিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শপথ পাঠ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। ছবি: বিটিভি থেকে সংগৃৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শেরেবাংলা নগরের সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের প্রথম লেভেলের শপথকক্ষে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সংসদ সচিবালয় মসজিদের ইমাম হাফেজ কারি মুফতি মো. আবু রায়হান। এরপর শপথবাক্য অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শপথ নিতে এদিন সকাল থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন। সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করেন। স্পিকার শপথকক্ষে প্রবেশ করেন সকাল ১০টা ৮ মিনিটে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শপথ গ্রহণ শেষে সংসদ সদস্যরা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সচিবের দপ্তরে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। তারা দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় অংশ নেবেন।

বেলা ১১টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিতদের এবং বেলা ১২টায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করাচ্ছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এর আগে, মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন থেকে সংসদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে ভোট হয়েছে। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়নি। যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফল আটকে আছে। কাজেই বুধবার ২৯৮টি আসনে নির্বাচিত নতুন এমপিদের শপথ পড়ানো হবে।

জাতীয় পার্টির সদস্যরা বুধবার শপথ নেবেন কি না, প্রথম দিকে কিছুটা সংশয় থাকলেও পরে দলটির শপথ নেওয়ার কথা জানায়।

৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ২২২টি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি এবং ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করে।

নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।

Link copied!