পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, “দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি বৈষম্য বেড়েছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই।”
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভ্যাল হলে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ আয়োজিত সূচনা চূড়ান্ত মূল্যায়ন ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে এম এ মান্নান বলেন, “অনেকে বলে বৈষম্য বেড়েছে। হ্যাঁ বেড়েছে, তা অস্বীকার করি না। বৈষম্য বাড়ার কারণ হলো যাদের কাছে সম্পদ আছে, অর্থ, শিক্ষা, মেধা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শক্তিশালী তারা বেশি অর্জন করছে। যাদের অবস্থান শূন্যের কোটায়, কিছুই নাই, ভূমিহীন প্রায় সমাজ থেকে বিচ্যুত বলা যায়, যাদের বিশ্বব্যাংকের মাপে দৈনিক আয় এক ডলারের নিচে ছিল সেই সংখ্যা ওখানে আর নেই।”
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ক্ষুধা দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্পূর্ণ না হলেও কমিয়ে আনা। আমরা মোটা দাগে দারিদ্র ৪০-৪৫ ছিল ৮-৯ সালে সেখানে এখন ১৮ দশমিক ৫ এ আছি। প্রচণ্ড দারিদ্র ৪-৫ এর মধ্যে আছে। আমাদের সাহস এসেছে যে আমরা ধারাবাহিক কাজ চালিয়ে গেলে আমরা এটাকে নির্মূল করতে পারব।”
এম এ মান্নান বলেন, “খাবার পানি, স্যানিটেশন, প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুদের টিকা, মহিলাদের সচেতনকরণ, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের যে অচলায়তন ছিল আমাদের হাজার বছরের সেগুলো আমরা ঠেলে কিছুটা দূরে সড়াতে পেরেছি। এখন আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।”
এম এ মান্নান আরও বলেন, “গ্রামে-গঞ্জে বসবাস করেন দেশের প্রায় ৭০-৭৫ ভাগ মানুষ। যারা ঢাকার উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত পর্যায়ের নন, যারা সুশীল সমাজ বা উন্নত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি নন, তারাই আমাদের দেশের প্রকৃত মালিক। তারাই যুদ্ধ করেছেন, এখনো খেতে-খামারে কাজ করে কলকারখানায় আমাদের টিকিয়ে রেখেছেন। লুকাবার ব্যাপার নয়, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা চান, আরও বেশি উন্নয়ন। তাদের যদি বলা হয়, এক গ্লাস গণতন্ত্র খাবে না এক গ্লাস উন্নয়ন খাবে? তারা এক গ্লাস উন্নয়নই নেবে। কারণ সেটা তার খুব দরকার এই মুহূর্তে।”