• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
উত্তরা থেকে মতিঝিল

মেট্রোরেলে উপচেপড়া ভিড়, ‘তবু স্বস্তির যাতায়াত’


মো. মির হোসেন সরকার
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
মেট্রোরেলে উপচেপড়া ভিড়, ‘তবু স্বস্তির যাতায়াত’
ছবি: সংগৃহীত

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অবিরাম ছুটছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। যাত্রী কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ায় পা ফেলার জায়গা নেই। এছাড়াও স্টেশনে অনেকেই অপেক্ষা করছেন পরবর্তী মেট্রোট্রেনের জন্য। উপচেপড়া ভিড়ে যেখানে যাত্রীদের অভিযোগ থাকার কথা, সেখানে রয়েছে উল্টোটা। অর্থাৎ ভোগান্তির পরবর্তীতে মেট্রো যাত্রাকে স্বস্তি ও আরামদায়ক বলছেন তারা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজিব হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঢাকা শহরে যে পরিমাণ যানজটে সময় ব্যয় হয়, তার চেয়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলে দাঁড়িয়ে অফিসে যাতায়াতেও অনেক শান্তি আছে। সময় তো বাঁচবেই, সঙ্গে রোদ থেকেও বাঁচা যাবে।”

সরেজমিনে রাজধানীর ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনে দেখা যায়, টিকেট কাউন্টারে মতিঝিলগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সড়ক পথে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে স্বস্তিতে মেট্রোরেলের যাত্রা তাদের কাছে এখন প্রধান বিষয়।

টিকেট কাউন্টারে কথা হয় সুব্রত দেবের সঙ্গে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পরিবহনে করে মতিঝিল পৌঁছাতে যে পরিমাণ কষ্ট করতে হয়, এর চেয়ে মেট্রোরেল হাজারগুন ভালো। তাই মেট্রোরেলের যাত্রায় নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলছি।”

তথ্য বলছে, গত ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় যাত্রীসেবা। এখন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলতে কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশনগুলোর কিছু কাজ বাকি আছে। বলতে গেলে প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ ভাগ কাজ শেষ হলে পুরোপুরি মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল ছুটবে।”

মেট্রোরেলে ফার্মগেট থেকে আমাদের যাত্রা ছিল মতিঝিল। পথিমধ্যে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে কথা হয় বেশ কয়েকজনের। এদেরই একজন মো. মকবুল হোসেন। পেশায় তিনি ব্যাংকার। মতিঝিলে অবস্থিত একটি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। মেট্রোরেলে উঠেছেন আগারগাঁও থেকে।

মুখে হাসি নিয়ে মো. মকবুল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এতদিন বাসে করে মতিঝিল যেতে যে কষ্ট করেছি, তা বলার মতো না। এখন সেই কষ্ট লাঘব হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেলের চেয়ার কোচে করে এখন ব্যাংকে যেতে পারি। এর চেয়ে আর আনন্দ কি আছে বলেন।”

তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল করে দিয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। মানুষ মেট্রোরেলে অভ্যস্ত হলে সড়ক পথে পরিবহনও কমবে, যানজটও নিরসন হবে।”

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের ভাড়া তুলনামূলকভাবে খুব বেশি এমন নয়। সময় বাঁচছে, স্বস্তি ও আরামদায়ক যাত্রায় ভাড়া সহনীয় আছে বলে আমি মনে করি।”
 

Link copied!