• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালিবাগ : একটি গর্তে অনেকের দুর্ভোগ


বিজন কুমার
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
মালিবাগ : একটি গর্তে অনেকের দুর্ভোগ
রাজধানীর মালিবাগ রেলগেটের উত্তর পাশের চৌমুহনীতে বড় এই খানাখন্দে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সাময়ীক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। নির্মাণ ত্রুটির কারণে সড়কগুলোর অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এসব খানাখন্দে একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। দুর্ভোগ তৈরি হয় পথচারীদের।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় দুর্ভোগের এমন চিত্রই দেখা গেল মালিবাগ রেলগেট এলাকার ত্রিমোহিনীতে। বৃষ্টির জমা পানিতে এক মোটরসাইকেল আরোহী পড়ে গিয়েছেন। কাদা-পানিতে একাকার হয়ে লোকটির যাত্রা নষ্ট হলো নিমিষেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তার ওই একটি খানাখন্দে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, “তিন বছরেও সংস্কার হয়নি রাস্তার এই অংশটুকু। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় দেখেতে না পেরে অনেকেই প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হয় এখানে।

ওই খানাখন্দে পড়ে যাওয়া ব্যক্তি আলাউদ্দীন বলেন, “বৃষ্টি থামার পর মোটরসাইকলে নিয়ে বের হই। মুগদা থেকে মগবাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে মালিবাগ এলাকায় এসে দেখি রাস্তায় পানি জমে আছে। জমে থাকা পানির ওপর দিয়ে যেতে ধরে মোটসাইকেলসহ পড়ে গেছি। রাস্তা যে খাল হয়ে আছে, তা জানা ছিল না। জমে থাকা পানি নোংড়া, তাই দেখতেও পাইনি। আল্লাহ্ বাঁচাইছে আমাকে।’’

সানোয়ার নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘এখানে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। জমে যাওয়া পানি অনেকদিন থাকে। আজকে বৃষ্টি হইছে না? অন্তত ১৫ দিন পানি জমে থাকবে। তার উপর একটা গর্ত থাকার কারণে প্রতিদিন রিকশা, মোটরসাইকেল এবং সিএনজি দুর্ঘটনার শিকার হয়। একটু অসাবধান হলেই পড়ে যায়। অনেকেই আহত হন। অনেক দিন ধরেই এই সমস্যা। সবাই দেখে, কিন্তু সমাধান হয় না।”

সাকিল সর্দার নামে এক হকার বলেন, “আজকে (রোববার) সকালে এক মেয়ে কলেজ যাচ্ছে। এখানে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। ছোট যানবাহনগুলো বেশি পড়ে যায়। রাস্তাঘাট ঠিক করা তো সরকারের দায়িত্ব। তারাই যদি না দেখে। তাহলে আমরা কোথায় যাবো? অনেকদিন ধরে এভাবেই পড়ে আছে।”

কলেজে পরীক্ষা ছিল বাড্ডা এলাকার রিজন ইসলামের। বৃষ্টির কারণে সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়েন এই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বৃষ্টি। যাওয়ার সময় খুব কষ্ট করে যেতে হয়েছে। রিকশা ভাড়া বেশি চাইলেও যেতে হয়েছে। রাস্তাঘাটের কথা কি বলবো? পানি জমে থাকে অনেক জায়গায়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।”

মালিবাগ রেলগেট এলাকার চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে রাস্তাটির এই অবস্থা। বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। মানুষ ওই জায়গাটায় আসলে পড়ে যায়। যানজটের সৃষ্টি হয়। কেউ পড়ে গেলে তো ঠিকমত অফিস, কলেজ যেতে পারে না। বইপত্র, কাপড় সব ভিজে যায়। এসব কেউ দেখেও, দেখে না!”

Link copied!