বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মেডিকেল বোর্ড।”
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে মানুষ সোচ্চার হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে নির্মূলের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা তৈরি করে ৬ বছর ধরে সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করার পরে গৃহ-অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গত পরশু (১০ আগস্ট) বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন। গতকালও (১১ আগস্ট) আমি ছিলাম, হাসপাতালে সন্ধ্যার পরে বোর্ড হয়েছে। সেই বোর্ডে ডাক্তাররা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন যে, দেশনেত্রীকে যদি অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা না হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বা বাংলাদেশে তার চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে কিনা তারা এখনো নিশ্চিত নন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “চিকিৎসকরা বারবার বলেছেন, চিকিৎসার জন্য ম্যাডামকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। যে কারণে দেশের মানুষ আজ তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। সুচিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে এক দফা দাবির আন্দোলন চলছে, সেই দাবি আদায় করেই জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “অসাধারণ মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন কোকো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তার ভিত্তি স্থাপন করেছেন তিনি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। তাকে ওয়ান-ইলেভেনের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তিনি যখন বিদেশ যান সেখানেও একইভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলে তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান।”000