• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা সমীচীন নয় : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা সমীচীন নয় : তথ্যমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা কখনোই সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ সবসময়ই যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে এবং যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা কখনো সমীচীন নয়। এটি যুদ্ধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনেরও পরিপন্থি।”

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অর্জন প্রকাশন প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু সংকলন’ ও অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ‘সুন্দরবনের পেশাজীবী সম্প্রদায়ের সমাজ ও সংস্কৃতি’ দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মুন্সী জালাল উদ্দিন ও অর্জন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আবু হাশেম মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “পৃথিবীর যেখানেই হোক, বাংলাদেশ সংঘাতের বিপক্ষে। আমরা সংঘাতময় পৃথিবী চাই না। আমরা শান্তি চাই। ফিলিস্তিন অঞ্চলে আজ দশকের পর দশক ধরে সংঘাত চলছে এবং ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জাতিসংঘের বক্তৃতায় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। আমাদের সরকার সবসময় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এবং অনেক সময় আমরা সাহায্য সহযোগিতাও করেছি।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তাতে ফিলিস্তিন বা ইসরায়েল যেখানেই হোক, সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। যুদ্ধের নামে গাজা স্ট্রিপে খাদ্য, পানিসহ সমস্ত কিছু সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের যেভাবে জিম্মি করা হয়েছে, সেটি কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। এটি যুদ্ধ সংক্রান্ত যে আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে, সেটির নিয়মনীতিরও পরিপন্থি।”

বিএনপি সম্প্রতি তাদের কয়েক নেতার বিচারে সাজা হওয়ায় আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি’ বলেছে, এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে, ফরমায়েশি রায় দেয় না। বিএনপির নেতারা যদি নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। আরও দুই স্তর উচ্চ আদালত আছে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রকৃতপক্ষে দেশ-আদালত কোনোটির ওপরেই বিএনপির আস্থা নেই। বেগম জিয়ার মামলায় ১০০ বারের বেশি তারিখ পেছাতে হয়েছে। সেই জন্যই তারা এগুলো বলে। দেশে আইন ও আদালত স্বাধীনভাবেই কাজ করে। সে কারণে আওয়ামী লীগ নেতারও বিচার হয়, শাস্তিও হয়।”

সাংবাদিকরা এ সময় ‘বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডের মতে বেগম জিয়া এতো অসুস্থ যে বাসাতেও যেতে পারবেন না, তাহলে তিনি বিদেশ যাবেন কীভাবে’ এ প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “আসলে এটি দলীয় মেডিকেল বোর্ড। তারা বিএনপির মতোই কথা বলছে। বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সে জন্য সরকার আন্তরিক এবং যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে এবং প্রয়োজনে আরও করবে। বাইরের ডাক্তার আনার প্রয়োজন পড়লে তাও তারা আনতে পারেন।”

পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ উদ্বোধন নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতারা যেমন লজ্জা ভেঙে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে উঠেছিল এবারও তাদের ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুর যাওয়ার আহ্বান জানাই।”

Link copied!