সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চলছে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে এবং কার্যত রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, হাসপাতালে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা আগে কখনো ঘটেনি। রাষ্ট্রের ওপর এই হামলাকারীরা চিহ্নিত। তারা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। এটাকে নিছক রাজনীতি বলে এর দায় আমরা এড়াতে পারব না, ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেদিন সাপ পিটিয়ে মারার চেয়েও জঘন্যভাবে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডেমরায় ট্রাক ও বাসের সঙ্গে ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর পরে হরতাল-অবরোধ ডেকেও তারা যানবাহন ও মানুষের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা পরিচালনা করেছে, দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।”
রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং সাংবাদিক, সম্পাদক, গণমাধ্যম মানুষের ধ্যানধারণা তৈরি করে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির হামলায় ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং তাদের ওপর হামলার ভয়াবহতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা কী রকম ছিল, সেটি সারা দেশের জনগণ জানে না। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এর ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার যে, এতজন সাংবাদিক এভাবে নির্যাতিত হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে এটা হারিয়ে গেছে। সে কারণে এই রিপোর্টটা ধারাবাহিকভাবে হওয়া দরকার।”
উপস্থিত সম্পাদকদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, “গত কয়েক দশকেও পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো হয়নি। অথচ আপনারা টেলিভিশনে দেখেছেন একজন গাড়ির মালিক বিলাপ করে করে বলছে, ‘বৌ আমার গাড়িটা জ্বালাইয়া দিছে।’ বিএনপির যে দুষ্কৃতকারী গাড়িটা পুড়িয়ে দিয়েছে তার বুকের বেল্টে ‘প্রেস’ লেখা ছিল। এভাবে সাংবাদিকদের মানহানি বা অ্যাবিউজ করা হয়েছে। এটার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে হবে এবং জনমত তৈরি করতে হলে এগুলো লিখতে এবং বলতে হবে।”