দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি করে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি আরও বলেন, “একমাসের মধ্যে এ অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হবে এবং সেখানে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখবেন।”
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় কালামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে আনিসুল হক একথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি, আমাদের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোর ঠিকানা ছিল ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলের পুরাতন, জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত কোনো সরকারি ভবন। অনেক রেজিস্ট্রি অফিসের ভাগে জীর্ণ কিংবা পরিত্যক্ত ভবন বরাদ্দ পাওয়াটাও ছিল দুষ্কর।”
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, “আর দলিল লেখক ভাইদের ঠিকানা ছিল, মাথার ওপরে টিনের শেড এবং নিচে মাটি, খুব ভালো হলে অর্ধপাকা মেঝে। তাদের ঘরে বেড়া ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থাতেই তারা মেঝেতে পাটি বিছিয়ে সেখানে বসেই অনেক কষ্টে আমাদের দলিল লিখে দিয়েছেন।”
শুধু অবকাঠামো সমস্যা নয়, রেজিস্ট্রি অফিসগুলো নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “দলিল নকল করার জন্য বালাম বহি ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। ফলে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য আমাদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো।”
নকলনবিশদের পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরনা দিতে হতো, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “সময়মতো নিয়োগ না দেওয়ায় অনেক পদ শূন্য থাকতো। সবমিলিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ছিল চরম হতাশা।”
কথা প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, “সাংবাদিকদের ওপরে কোনো অত্যাচার হোক, সেটা সরকার সহ্য করবে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ করলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ্ উদ্দীন আহাম্মদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভাস্কর দেবনাথ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।