আরব আমিরাত, সৌদি আরব, রাশিয়া, মরক্কো এবং কাফকো থেকে আরও দুই লাখ পাঁচ হাজার টন সার কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার টন ইউরিয়া, ৬০ হাজার টন টিএসপি এবং ৩৫ হাজার টন এমওপি সার রয়েছে। এ ছাড়া ১৯৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় ২০ হাজার টন সার তৈরির উপাদান ফসফরিক এসিড আমদানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত সাতটিসহ মোট ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের বাইরে থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভার্চুয়ালিভাবে যুক্ত হয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন থেকে এক লটে ৪০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৪০ হাজার টন বাঙ্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৩৯২.৩৩ ডলার দরে এই ৮০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৮৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
বহুজাতিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন হয়েছে। প্রতি টন ৩৮০ ডলার হিসেবে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি টনের দাম পড়ছে ৩৫৬.২৫ ডলার। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে আমদানি হচ্ছে ৬০ হাজার টন টিএসপি সার। এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়া, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।































