• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘সরকার, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে আজকের বাংলাদেশ’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম
‘সরকার, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে আজকের বাংলাদেশ’
এফবিসিসিআই ভবনে আয়োজিত কর্মশালা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, “সরকার, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে আজকের বাংলাদেশ। ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ঝুঁকিমুক্ত থাকে সেজন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।”

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে আয়োজিত ‘রোল অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর ইন ডিজাস্টার রিস্ক অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকিপূর্ণ হলেও দেশের শিল্প ও কলকারখানা আইনে তা বন্ধ করে দেওয়ার বিধান নেই। যা এলডিসি গ্রাজুয়েশনে সাংঘর্ষিক হবে।”

অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “দেশের তৈরি পোশাকের (আরএমজি) বাইরে নন-আরএমজি কারখানাগুলো সরকারি-বেসরকারি যৌথভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে। গত তিন বছরে ১০ হাজারের বেশি নিবন্ধিত কারখানা পরিদর্শন করে প্রথম ধাপের কার্যক্রমে ২১টির বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা মিলেছে। যেগুলো সংস্কারের জন্য ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।”

৭৮টি প্রশ্নের মাধ্যমে এসব কারখানা পরিদর্শন করা হচ্ছে জানিয়ে অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “আগামীতে ১৫টি জেলার ২ হাজার ৯০০ কারখানা পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট জাতীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। তবে কারখানা যত ঝুঁকিপূর্ণই হোক, বাংলাদেশে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার বিধান নেই।”

বুয়েট অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, “বাংলাদেশে সবকিছুর আইন থাকলেও বাস্তবায়ন হয় না। ঢাকায় ভবনগুলো পরিদর্শন করলেও কোনো ফলোআপ নেই।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “দুর্যোগের বিষয়ে সবাইকে জানাতে হবে। সবার সমন্বয়ে দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “সাইক্লোন ও বন্যা নিয়ে তেমন আতঙ্ক না থাকলেও, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনায় পোশাকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পূর্ব ও পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে কোনো দুর্যোগেই ভয়ের কারণ নেই। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, “ঝুঁকি নিরসন কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।”

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআইর পরিচালকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

Link copied!