পাকিস্তানের মতো দেশেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার আসাদগেটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চার দিন আগে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের প্রচারে ‘হামলায়’ আহত টুকুর স্ত্রী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমনা মাহমুদকে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব।
প্রতিবেশী দেশগুলোর নির্বাচন ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের ফখরুল বলেন, “আপনারা পাশের দেশগুলোর দিকে দেখেন। ভারতের কি কম সমস্যা আছে? ভারতে নির্বাচন হচ্ছে, সবাই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নেপালে একেবারে বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দলগুলো সোশ্যালিস্ট, রেভল্যুশনারি, লিবারেল ডেমোক্র্যাট… ইলেকশন করছে এবং সবাই নির্বাচনে যাচ্ছে। সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ আছে। পাকিস্তানের মতো দেশ, তারা পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের (রাজনৈতিক দল) বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। দুর্ভাগ্যজনক আমরা সেটা করতে পারি নাই। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ এই সংকট সৃষ্টি করেছে।”
একেবারে খাদে এসে গেছে দেশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, আরেক দিকে রাজনৈতিক সংকট। এটা একটা ক্রিটিক্যাল মোমেন্ট।”
ফখরুল বলেন, “যদি নির্বাচন ঠিকমতো না হয়, নির্বাচনে যদি জনপ্রতিনিধি সঠিকভাবে নির্বাচিত না হয়, সে দেশ কীভাবে চলবে।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা এখনো মনে করি, এই সমস্ত সন্ত্রাস, অত্যাচার-নির্যাতন বাদ দিয়ে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা দেশে একটা সত্যিকার অর্থে একটা অন্তর্বর্তীকালীন কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় কোনোমতেই সমস্যার সমাধান করার সম্ভাবনা আমরা দেখি না।”
ঢাকায় দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এই বিএনপি নেতা বলেন, “চারদিকে তাকালে চোর, চুরি, চারদিকে তাকালে গুণ্ডামি, চারদিকে তাকালে মারামারি…। তারা এত কিছু করছেন, একজন দিনমজুরকে গুলি করে তার নাড়িভুড়ি বের করে দিতে পারছেন। আর আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সামনে দিয়ে জঙ্গি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বুঝতেই পারেন তাদের (সরকার) গভর্ন্যান্স। কোন জায়গায় তারা গভর্ন্যান্সকে নিয়ে এসেছে।”