ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার খারাপ লাগে, ফোন করে, ম্যাসেজ দিয়ে বড় গলায় বলে, আমি অমুক ভাইকে মেন্টেইন করি। ভাইকে মেন্টেইন করতে হবে কেন। কীসের মেন্টেইন? মেন্টেইন করবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। মেন্টেইন করবে শেখ হাসিনার সততা ও সাহস। আমি অনুরোধ করছি, মেন্টেইন-টেন্টেইন যেন আর শুনতে না হয়।”
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “১০ ডিসেম্বরে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সব পাড়া-মহল্লায়, জেলা-উপজেলায় বিভাগীয় শহরে সর্তক পাহারায় থাকতে হবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিজয়ের মাস প্রস্তুত হয়ে যান। ১৩ বছরে ১৩ মিনিটও দাঁড়াতে পারে নাই। তারা নাকি সরকার পতন করবে। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, বাস্তবে হয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগ ডাকে সমাবেশ, বাস্তবে হয় মহাসমাবেশ।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ছাত্রলীগ আমাদের সবুজ কৈশোরের ভালোবাসা। ছাত্রলীগ আমাদের প্রথম প্রেম। শেখ হাসিনার নতুন অঙ্গীকার স্মার্ট বাংলাদেশ। রাজনীতিবিদরা ভাবেন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আর শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন।”
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিএনপির ডাকে মহাসমাবেশ হয় সমাবেশ। আর আওয়ামী লীগের সমাবেশের ডাকে মহাসমাবেশ হয়। এটাই হলো বাস্তবতা। আজকে তারুণ্যের সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।”
১৫ আগস্টের ঘটনা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, “জবাব দিতে হবে আজ, খুনিদের বিদেশে যেতে দিলো কে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলারও মাস্টারমাইন্ড এই তারেক রহমান। উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে শেষ করা।”
প্রধানমন্ত্রী তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের চিন্তা করেন সার্বক্ষণিক। উনি আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক পথে আছেন। দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেটা আজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসনীয়।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “জবাব দিতে হবে। খুনিদের কারা পুরস্কৃত করল, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল তার জবাব দিতে হবে। বিদেশে চাকরি দিল কে, জিয়াউর রহমান। এই খুনিদের বিচার হবে না মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করল; কে করল, জিয়াউর রহমান। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা কে করল, তারেক রহমান।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের কথা ভেবে শেখ হাসিনার ঘুম হয় না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কখন ঘুমান। তিনি বলেছিলেন, আমি তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমাই। আমি কথা বলছিলাম সন্ধ্যার পর। তাকে জিজ্ঞেস করি, আপনি খাওয়া-দাওয়া করেননি? তিনি তখনও খাননি। তিনি বলেছেন, ‘তোমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে খেয়ে ফেলব।’ এ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়াবে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে।”
দেশের রপ্তানি আবারও বাড়ছে জানিয়ে কাদের বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”
এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাত্রলীগের এই সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নতুন নেতৃত্ব পাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্র সংগঠনটি।
এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাত্রলীগের এই সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নতুন নেতৃত্ব পাবে দেশের অন্যতম প্রাচীন ছাত্র সংগঠনটি।