সাম্প্রদায়িক অপশক্তির গাত্রদাহ হচ্ছে : মেনন

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, “পাঠ্যপুস্তকে প্রগতি, বিজ্ঞান ও অগ্রগতির কথা আছে। সেই কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির গাত্রদাহ হচ্ছে। তাদের কথায় ভুল সংশোধনের কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মূলত আত্মসমর্পণ করছে। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানভিত্তিক একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পথে না এগোলে দেশ পিছিয়ে যাবে।”

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, “পাঠ্যবই নিয়ে চার দিকে রা রা শুরু হয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে পেছনে যাব না। বরং মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এগিয়ে নিতে ঐক্যকে দৃঢ় করুন, বাধন শক্ত করুন।”

মেনন বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের কাছে দেশের মানুষের জীবনের সমস্যা ‘সমস্যা’ নয়। গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট নিয়ে যখন জনগণ চরমভাবে বিব্রতকর সময় পার করেছে তখন তাদের কাছে প্রধান প্রশ্ন ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতার জন্য তারা ডান-বাম সব এক হয়েছে।”

তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্র সংস্কারের অর্থ রাষ্ট্রের ধ্বংস সাধন, সংবিধানের ধ্বংস সাধন। আর তাই তারা রেইনবো নেশনের কথা বলে ন্যাশনাল রি-কনসিলিয়েশন বলে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষকে এক কাতারে দাঁড় করাতে চান।”

জনজীবনের সংকট প্রশ্নে সমাবেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, “মানুষের প্রশ্ন তারা বাঁচবে কীভাবে, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে কীভাবে? মানুষ প্রতি মূহুর্তে সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছে। আমাদের জাতীয় দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রশ্নগুলোর সমাধানের পথ বের করা। বিএনপি-জামায়াত তা না করে কেবল ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে। তাদের একটাই দাবি ক্ষমতা দিতে হবে। জনগণ তাদের সেই ডাকে সাড়া দেবে না।”

এসময় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হোলে দেশ থেকে পাকিস্তানি ভূত তাড়ানো সম্ভব হবে। বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্র মেরামত চায়। আমরা মনে করি ৭২’ এর সংবিধানে ফিরলে রাষ্ট্র বিএনপি ও জামায়াত একসঙ্গে মেরামত করা যাবে।”

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নূর আহমদ বকুল, কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ঢাকা জেলা সভাপতি কমরেড করম আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড হিমাংশু সাহা, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, গাজীপুর জেলা সভাপতি কমরেড আব্দুল মজিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমরেড কিশোর রায় ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুল।

এছাড়া পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।