• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
দুই নেতাকে মারধর

কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখলে কর্মসূচি দেবে ছাত্রলীগ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম
কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখলে কর্মসূচি দেবে ছাত্রলীগ

পুলিশ কর্তৃক ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেড়ধক পেটানোর ঘটনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, “এখানে যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে আন্তরিকতার ঘাটতি দেখা যায়, তাহলে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারি। আমরা যদি দেখি, আইনি প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে তার বিচার হচ্ছে বা কাজ হচ্ছে, তাহলে আমাদের কিছু করা ঠিক নয়।”

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শেখ ইনান এসব কথা বলেন।

এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাবির ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেড়ধক পিটিয়েছেন। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

এ ঘটনায় মামলা করবেন কি-না জানতে চাইলে শেখ ইনান বলেন, আইনানুগ বিষয়ে কতটুকু কী করা যায়, আমরা খতিয়ে দেখছি।

ইনান বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। উনি আমাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাৎক্ষণিক এডিসি হারুনকে স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়েছেন। পুলিশ বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তারা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশ পুলিশও এ বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তারা অপরাধকে প্রশ্রয় দিতে ইচ্ছুক নয়।”

তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক। বাংলাদেশ পুলিশ শিক্ষার্থীবান্ধব, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করে। সেক্ষেত্রে পুলিশের এমন বিচ্ছিন্ন কর্মকর্তার কাজ পুরো বাহিনীর জন্য লজ্জাজনক। এ বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের অনুরোধ জানাই।”

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “আমি গতকাল (শনিবার) শাহবাগ থানায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি, নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি নুর মোহাম্মদ, কর্মকর্তা শাহেনশাহ ও সালমান আন্তরিকভাবে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ সময় আমি মুনীমের থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তাৎক্ষনিক বিচারের দাবি জানিয়েছি। আমরা বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে সমাধান সম্পর্কে তাদের অবহিত করি। তারপর তারা শান্ত হয়।”

Link copied!