দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আকতারুজ্জামান এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন দিন ধার্য করা হয়।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি মুলতবি চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদনে মাসুদ বলেন, “সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকা খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং তিনি তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই শুনানি স্থগিত করা উচিত।”
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত হাজিরা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল এবং মাসুদ আহমেদ তার অনুপস্থিতিতে আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেন।
শুনানির সময় জামিনে থাকা অপর তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন।
অপর আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক আছেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সর্বোচ্চ দরদাতাকে দেওয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি চুক্তিতে ১৫৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার সাবেক মন্ত্রিসভার ১০ জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছিল।
২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর এ মামলায় খালেদাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দুদক।
বিচার চলাকালীন সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ ৭ আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।