• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে : আতিক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৩, ০৬:৪৫ পিএম
কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে : আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশে কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে। কবরস্থানের টোটাল ম্যানেজম্যান্ট থাকবে হাতের মুঠোয়। তাই ডিএনসিসির কবরস্থানের সব তথ্য এবার যুক্ত হলো অনলাইন সেবায়।”

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, “কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিল, একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানবে না। তবে, এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজনরা অনেক বছর পরেও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল, এটা নিয়ে কেউ আর দিশেহারা হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডাটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।”

মেয়র বলেন, “এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তীতে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে। আমরা সেখানে দেখতে পাবো কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এটার এমন সেবা দিতে চাই যেন, নগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পান। পাশাপাশি কবর কোথায় দিবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবে অ্যাপের মাধ্যমে।”

মেয়র বলেন, “কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ বাড়িয়েছি। এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সংকট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসে, আর সেটা যদি স্থায়ী সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।”

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, “ডিএনসিসির ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। এখন সব অনলাইনে হচ্ছে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিগগিরই উদ্বোধন করব। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে কাজ করছি।”

Link copied!