মানুষ পুড়িয়ে মারা রাজনৈতিক দলের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যেভাবে বাস, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে এবং মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসীদের কাজ। বিএনপি আসলে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা অ্যাকাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি নেতাদের সবার বিরুদ্ধে তো মামলা নাই, সবার বিরুদ্ধে তো ওয়ারেন্ট নাই। কিন্তু কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কারণ তারা ২৮ অক্টোবর যে অপরাধ করেছে এবং এর পরবর্তী প্রতিটি দিন যে অপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে, এজন্য জনগণের কাছে চেহারা দেখানোর সাহস তাদের নেই।”
দুটি কারণে আজকে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “একটি হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে, সেটির প্রতিবাদ সারা পৃথিবীজুড়ে হয়েছে, এমন কি অনেক ইহুদিও সেটির প্রতিবাদ করেছেন। শুধু বিএনপি এবং জামায়াত সেটির প্রতিবাদ করেনি। এতে দেশের সমস্ত মুসলমানকে তারা আহত করেছে। আর অপরটি হলো, ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা নিরীহ মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা করা।”
বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা অংশ নেবেন বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সুতরাং এগুলো করে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।”
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন সরকার গঠিত হবে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বহু দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপির নেতারাও অংশগ্রহণ করবেন।”
এ সময় শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।