তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপি মহাসচিব তার বক্তব্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন, যে তাদের একদফার দাবি আদায় সম্ভব নয়।”
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “একদফার আন্দোলনে সামনে কঠিন সময় আসছে। উনারা তো বহু আগে থেকেই একদফা আন্দোলনের মধ্যে আছেন। সেটি একবার গরুর হাটে মারা গেছে, তারপর আগস্টের আগে জোর একদফা আন্দোলন শুরু করবে বলেছিল। সেটিও হালে পানি পায়নি। এখন তাদের আন্দোলনের হাট তো ভেঙে গেছে। শুধু কর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্য তারা এ সমস্ত কথাবার্তা বলছে।”
বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর ‘আন্দোলনের জোয়ারে আওয়ামী লীগ কোথায় যাবে’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোথাও যাব না। এই দেশেই আছি এই দেশেই থাকব। রিজভী সাহেবরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পাকিস্তানে যাবেন, না অন্য কোথাও যাবেন, না এখানে থাকবেন। কারণ উনাদের মহাসচিব বলেছেন যে, পাকিস্তানই ভালো ছিল।”
ভারতে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ জি-২০ সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও জি-২০ বর্তমান সভাপতি ভারত উপমহাদেশ থেকে শুধু বাংলাদেশকে অর্থাৎ আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উপমহাদেশের আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে ডাকা হয়নি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত সফল ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই প্রধানমন্ত্রী এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। কুশল বিনিময়সহ ছোটখাটো আলোচনাও করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরব আমিরাত ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ এবং সাইডলাইনে আলোচনা হয়েছে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এ সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে।”
জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ছবি অনেক কথা বলে। এই ছবির ভাষা নিশ্চয়ই সাংবাদিক এবং বোদ্ধা ব্যক্তিরাও বুঝতে পারছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠ হবে।”