কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করেছে। ধর্মের নামে রাজনীতি করে তারা। দেশের মানুষ এখন মিলেমিশে থাকতে চায় তবে তারা সেখানেও বাধা সৃষ্টি করে। আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সক্ষমতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। আজ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। এখন দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে, যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য।
নাছিম বলেন, দেশের শান্তি ও অগ্রগতি জন্য এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মোকাবিলা করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এদের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যতদিন বেঁচে থাকবেন, গণতন্ত্র ততদিনই নিরাপদ থাকবে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের মেধা ও উন্নতির লড়াই করতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের শপথ ও প্রত্যয় নিতে হবে, জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশোধ নিতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চাই। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাঙালি জাতির যে স্বপ্নসহ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণ করতে চাই। জাতির পিতা বৈষম্যহীন দেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা বাস্তবায়ন করতে চাই। দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে চাই। জাতির পিতা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন। বার বার কারাগারে গেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে একটি শোষণমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল, সেই পাকিস্তানি দালাল ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের জন্য আমরা সেদিন আমাদের মহান নেতাকে হারিয়েছি। তারা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করতে চায়নি, তারা চেয়েছিল আমাদের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে হত্যা করতে।”
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ ফয়েজ আহম্মদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্স ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কৃষিবিদ প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল।