বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে (বীর উত্তম) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) রাজধানীর একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে রোববার ভোরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএনপির আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান রিজভী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদেরকে অতি চালাক ভাবছে এবং সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসক গোষ্ঠী।
কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে।
রিজভী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।