• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব করতে চায়’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
‘বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব করতে চায়’

বিএনপি-জামায়াত দেশে আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের সমাবেশে শোডাউন দিতে ভাড়া করে কামলা নিয়ে আসবেন না, দলের প্রকৃত নেতাকর্মী নিয়ে আসবেন। সমাবেশে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এসে চেহারাটা দেখিয়ে আবার উল্টা বাড়ি ফিরে যান। ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল করে সমাবেশে আসার পর বারবার বলা হয় ব্যানার নামানোর জন্য, কিন্তু ব্যানার নামানো হয় না, এটা দৃষ্টিকটু।”

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জরুরি বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি প্রসঙ্গে মির্জা আজম বলেন, “কিছু নেতাকর্মী মিটিং-মিছিলে ব্যানার নিয়ে আসেন। সমাবেশে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এসে চেহারাটা দেখিয়ে আবার উল্টা বাড়ি ফিরে যান। সমাবেশ শুরু হয় নাই, নিজের পছন্দের নেতা যে আছে তার ছবি দিয়ে ব্যানার করে তাকে দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যান। বারবার বলার পরও ব্যানার নামানো হয় না, এটা দৃষ্টিকটু। ইউনিট, ওয়ার্ড কমিটি নাই, সবাই নেতা হতে আসেন। তাই নিজের পরিচয় দিতে চান।”

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “যারা নিজের পরিচয় ও ছবি দিয়ে ব্যানার করে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন, তাদের বলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যানার নামাতে হবে। বড় করে ছবিসহ ব্যানার যারা ধরে রাখেন, তারা জানেনই না এটা কার ব্যানার ধরে রেখেছেন, কে তার নেতা। তাই বারবার বলার পরও তিনি ব্যানার ধরে রাখেন, ব্যানার নামান না। যিনি ব্যানার ধরে রাখেন তাকে হয়তো কিছু টাকা দিয়ে ব্যানার ধরতে বলা হয়েছে।”

মির্জা আজম বলেন, “আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের যে কর্মসূচি আছে সব নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে তা সফল করতে হবে। যেসব নেতাকর্মী মিটিংয়ে আসবেন, তাদের প্রত্যেকে মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত মিটিংয়ে থাকতে হবে।”

এ সময় মিটিংয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একাধিক টিম গঠন করার আহ্বান জানান মির্জা আজম। তিনি বলেন, “আমাদের ইস্পাত কঠিন সুদৃঢ় ঐক্য গঠন করে রাজপথে থেকে এ অপশক্তিকে প্রতিহত করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত রাখতে হবে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।”

মির্জা আজম বলেন, “এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। উন্নয়ন এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।”

মির্জা আজম আরও বলেন, “বিএনপি-জামায়াত এই অশুভ শক্তি তারা আসলে নির্বাচন চায় না। তারা জানে, জনগণ কখনো তাদের ক্ষমতায় আনবে না। উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন।”

Link copied!