• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে আ.লীগ : ফখরুল


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে আ.লীগ : ফখরুল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ ‘মিথ্যাচার’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ তার বাড়ির সিঁড়িতে পড়েছিল। তারপরে আওয়ামী লীগের নেতারা সরকার তৈরি করে সেই সরকার গঠন করেছিলেন। যারা আজকে মিথ্যা প্রচার চালায় যে, এখানে জিয়াউর রহমান সাহেব জড়িত ছিলেন, তাদের একটাই উদ্দেশ্য, জিয়াউর রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তাকে একেবারে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা। সেটা সম্ভব নয়।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এখন ওরা এমন সব অলীক গল্প ফাঁদে, বলে যে, শহীদ জিয়াউর রহমান প্রয়াত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা হচ্ছে শুধুমাত্র ইতিহাসকে বিকৃত করা, যে আন্দোলন শুরু হয়েছে জনগণের গণতন্ত্র ফেরাতে, সেই আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করা।”

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময়কার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তখন তো বিএনপির জন্মই হয়নি। শহীদ জিয়াউর রহমান তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন ডেপুটি প্রধান। যে সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন অর্থাৎ সেনাবাহিনী প্রধান, নৌ বাহিনী প্রধান বিমান বাহিনী প্রধান তারা ওই দুর্ঘটনার পরে যখন খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়েছিল, তখন তারা সবাই স্যালুট করে খন্দকার মোশতাকের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন।”

স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ‘লুটপাটের রাজত্ব’ শুরু করেছিল অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “এদেশটাকে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে বলা যেতে পারে এককথায় দুঃশাসনের রাজ্য তৈরি করেছিল। তারা তাদের মতো করে এদেশকে একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছিল।”

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, রচনা প্রতিযোগিতা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এছাড়া অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, লুৎফুর রহমান, ছিদ্দিকুর রহমান, এমতাজ হোসেন, শামসুল আলম সেলিম, নুরুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন আহমেদ, ইসরাফিল প্রামাণিক, শামসুজ্জামান মেহেদী প্রমুখ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!