জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
রোববার (৪ মে) রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম।
আটকদের মধ্যে দুজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন ও মাসুম আহমদ (দিপু)। পুলিশের দাবি, নিজাম উদ্দিন গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। এছাড়া মাসুম কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি।
জানা গেছে, রোববার বিকেলে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস নিয়ে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসনাতের গাড়িতে আঘাত করা হয়। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। তার হাতের কুনইয়ে জখম হয়েছে। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তার গাড়ির পেছনে দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসনাত বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটির ভেতরে গিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নেন। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আইইউটির সামনে শত শত ছাত্র জড়ো হন। এরই মধ্যে তিনি নিরাপদে ঢাকায় চলে যান। পরে সেখানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান তারা।
এদিকে, গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।