প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে ছিলেন সাদাসিধে জীবনযাপন করতে হবে। কাজেই সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং—এটাই ছিল আমাদের মটো।”
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন এবং শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বাবার ক্ষমতা ছিল সত্যি, কিন্তু আমরা কখনো সেই ক্ষমতাটাকে বড় করে দেখিনি। এটা আমার মা-বাবার শিক্ষা ছিল না। আমার আব্বা ৩২ নম্বরের বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। কারণ মা বলতেন, ক্ষমতা-জৌলুশ, আরাম-আয়েশ এসব দিকে যেন নজর না যায়। সবাইকে এভাবে মানুষ করে গেছেন আমাদের মা-বাবা।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমরা সংগঠন করতাম। কিন্তু কোনো পদ নিয়ে চিন্তা ছিল না। আমার বাবা এ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। তাঁর আদর্শ নিয়েই পথ চলতাম।”
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরী ও শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ওসমানীর এডিসি ছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “নিয়তির কী পরিহাস, ১৫ আগস্ট নূরই প্রথম আসে। ফারুকের নেতৃত্বে যে গ্রুপটা আমাদের ৩২ নম্বরের বাড়ি আক্রমণ করে, সেখানে কর্নেল নূর-হুদা এরা ছিলেন। কামাল মনে হয় একটু ধোঁকায় পড়ে গিয়েছিল তাকে দেখে। ভেবেছিল তারা বোধ হয় উদ্ধার করতে এসেছে। কিন্তু তারা যে ঘাতক হয়ে এসেছে, সেটা বোধ হয় জানত না। কারণ প্রথমে তারা কামালকে হত্যা করে। এরপর একে একে পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “কামাল বহুমুখী প্রতিভার অধিকার ছিল। একাধারে সে হকি, ফুটবল ও ক্রিকেট খেলত। ভালো সেতারা বাজাত, ভালো ছাত্র ছিল এবং ভালো গান গাইত। নাটকে অংশগ্রহণ করত এবং উপস্থিত বক্তৃতায় সব সময় পুরস্কার পেত।”
ভাইয়ের স্মৃতিচারণায় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “তার পোশাক-পরিচ্ছেদ, জীবন-যাপন খুবই সীমিত ছিল। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির ছেলে বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে কোনো অহমিকা ছিল না তার। খুব সাধারণভাবে জীবনে চলা—এটাই ছিল তার লক্ষ্য।”
ক্রীড়াঙ্গনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কাজী হাবলু, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




























