দীর্ঘ বিরতিতে ঢাকায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সফরে নজর ছিল সবার। বিশেষ নতুন বাংলাদেশের নতুন বন্দোবস্তের স্পঙ্গে কতটা মিলে যেতে পারেন তিনি। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সে চেষ্টায় ত্রুটি রাখেননি ইসহাক।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটায় হোটেল থেকে গুলশানে নিজ দেশের হাইকমিশনে পৌঁছান তিনি। যদিও তার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিল এনসিপি। দলটির সঙ্গে তার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। এ সময় কী বার্তা দিয়েছেন ইসহাক দার, তা লেখা হয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটে।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসহাক দার বৈঠকে সংস্কার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য এনসিপি নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে। তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে বৃহত্তর যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এ সময় এনসিপির সদস্যরা ২০২৪ সালে দেশব্যাপী রাজনৈতিক সংহতকরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে ইসহাক দারকে অবহিত করেন। সামনের দিনগুলোতে উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সঙ্গে বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। যেখানে সার্ক প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মৌলিক ভূমিকার কথা আন্তরিকভাবে স্বীকার করা হয়। নেতারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অতীতের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের কথাও তুলে ধরেন।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেন পাক উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। এ বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সে জানায়, বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ককে শক্তিশালী করার উপায় এবং এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, এ দুটি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে আলোচনায়। পাক উপপ্রধানমন্ত্রী জামায়াতে নেতাকর্মীদের কষ্ট ও অসুবিধার মুখে সাহস ও অবিচলতার প্রশংসা করেছে।