ঈদের শিথিলতা শেষে আবার শুরু হলো কঠোর বিধিনিষেধ। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে এই বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এবারকার বিধিনিষেধে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানাসহ সব ধরনের শিল্পকারখানা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে। এটা এ যাবৎকালের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ হতে যাচ্ছে। এ সময় মানুষের বাইরে আসার প্রয়োজনই হবে না। কারণ, অফিসে যাওয়ার বিষয় নেই। যারা গ্রামে গেছেন, তারা জানেন যে অফিস বন্ধ। তাদের ৫ তারিখের পরে আসতে হবে।”
এদিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিধিনিষেধের মধ্যে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের যান পরিবহন বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী যান ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে।
এই কঠোর বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে কোরবানির পশুর চামড়াসংশ্লিষ্ট খাত, খাদ্যপণ্য এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পণ্য ও ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। রোববার (২৫ জুলাই) থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। সেই সঙ্গে খোলা থাকবে বীমা কোম্পানির কার্যালয় ও শেয়ারবাজার।