সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার খরচ মেটাতে আইন অনুযায়ী তহবিল করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ আহত হয়, আবার অনেকে মারা যান। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নিহত ব্যক্তি বা পরিবারের উত্তরসূরীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখতে একটি তহবিল ও ট্রাস্ট গঠন করার কথা। কিন্তু গত তিন বছরেও একটি ট্রাস্ট বা তহবিল গঠন করা হয়নি।’’
এ বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে গত ১৭ আগস্ট বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় বলে জানান মনোজ কুমার।
রিটের শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
এতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর দেশে ৪ হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় ৬ হাজার ৬৮৬ জন।
তাদের মধ্যে চালকের সংখ্যা ২ হাজার ৩৯ জন, ১ হাজার ৫৯৪ জন পথচারী, ৭৫৭ জন পরিবহনশ্রমিক, ৭০৬ জন ছাত্রছাত্রী, ১০৪ জন শিক্ষক, ২০০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৯১৮ জন নারী, ৫৪১ জন শিশু, ২৯ জন সাংবাদিক, ২৭ জন চিকিৎসক, ৮ জন আইনজীবী ও ৫ জন প্রকৌশলী। এ ছাড়া নিহতের মধ্যে ১৪৪ জন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীও রয়েছেন।
যনবাহনের বেপরোয়া গতিকে সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে।
 
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























