• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩০, ২৬ রমজান ১৪৪৬

সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের চ্যালেঞ্জ: কাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৩:৪০ পিএম
সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের চ্যালেঞ্জ: কাদের
ছবি: সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “ দেশে পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলার বড় সঙ্কট রয়েছে। এত রাস্তা, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, সীমান্ত সড়ক, মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হচ্ছে। তারপরও আমরা কেন সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পারবো না।”

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত সড়ক ভবন অডিটরিয়ামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত 'গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। 

এই আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “পরিবহন ও সড়কে এখন মূল সঙ্কট শৃঙ্খলার। এখানে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তবে আমাদের সব উন্নয়ন ব্যর্থ হয়ে যাবে। কাজেই সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।”

কেবল বছরে একদিন (২২ অক্টোবর) সুন্দর সুন্দর ব্যানার পোষ্টার ও প্ল্যাকার্ড করলেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হবে না। নিরাপদ সড়ক একদিন নয়, প্রতিদিন করতে হবে নিরাপদ সড়ক বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ‘র ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকা। হাজার হাজার আবেদন জমা। আমি বলবো ছুটির দিনে কাজ করে হলেও আটকে থাকা লাইসেন্সগুলো দিয়ে দিতে। এখন লাইসেন্সের অনেক ডিমান্ড। এখন জট খুলেছে, আগামীতে আর কোনো জট যাতে না হয় সেটি আমার চাওয়া।”

মন্ত্রী বলেন, “কখনও দুই পরিবহনের সংঘর্ষে, কখনও তিন চাকার গাড়ি ইজি বাইক, নসিমন-করিমন দুর্ঘটনায় লোকজন প্রাণ হারায়। এর জন্য আমরা ২২টি সড়কে এগুলো নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু অনেক জায়গায় এই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না। আর ইদানিং নতুন উপদ্রব হচ্ছে মোটর সাইকেল। মোটরসাইকেল কোনো নিয়ম মানে না। প্রতিদিন সড়কে যে দুর্ঘটনা হয়, বেশির ভাগই মোটরসাইকেল। দুইজন তিনজন চড়ে হেলমেট নাই। তবে মাঝে মাঝে দেখা যায়, অনেকে নিয়ম মানছে না। তারা রাজনৈতিক কর্মী ও তরুণ-তুর্কি। কিছু রাজনৈতিক কর্মী আছে, তারা একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে মোটরসাইকেল চালায়। তিনজন করে বসে, মাথায় হেলমেট নেই। বোঝা যায় তারা দাপট দেখাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ নিয়ম মানে। প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় দেখি সব মোটরসাইকেল চালক হেলমেট পরে যাচ্ছে। সেটা আমার চেষ্টা করে চালকদের হেলমেট পড়তে বাধ্য করেছি।” 

কাদের বলেন, “কত মামলা হয়েছে, কত জরিমানা করেছে পুলিশ। এগুলো কোনো বিষয় না। আমার কাছে বিষয় হচ্ছে সড়ক নিরাপদ আছে কি না, সড়কে দুর্ঘটনা কমেছে কি না। গাড়ির ফিটনেস আছে কি না। চালকের ফিটনেস আছে কি না। গাড়ি ওভার স্পিডে আছে কি না, চালক গাড়ি চালানোর যোগ্য কি না- এগুলো আমার দেখার বিষয়।প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে, পাখির মত মানুষ মরছে, মাছির মত মানুষ মরছে। এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো মানুষ হিসেবে আমি সইতে পারি না। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি, রাতে দিনে, বৃষ্টিতে-রোদে-শীতে রাস্তায় ঘুরেছি। কিন্তু কাঙ্খিত ফল পাইনি। কিন্তু সড়কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই এবার সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে হবে। রাস্তাকে নিরাপদ করতে হবে। পরিবহনে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।”

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলাম,  নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলেনের চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারসহ প্রমুখ।


 

Link copied!