• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ২ যুবক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে ২ যুবক

রাজধানীতে পৃথক স্থানে যাত্রীবাহী বাসের ভেতর দুই যুবক অচেতন হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাকস্থলী ওয়াশ করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, তারা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে অচেতন হয়েছেন।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বজন ও পুলিশ তাদের দু'জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

তারা হলেন প্রবাসী ইকরাম হোসেন (২২) ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী অমিত (৩২)।

ইকরামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ।

এসআই হারুন অর রশিদ জানান, আজ সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মৎস্য ভবনের সামনে বাস থেকে ইকরামকে উদ্ধার করা হয়।

খাজা বাবা নামে বাসটির স্টাফদের বরাত দিয়ে এসআই আরো জানান, ইকরাম প্রথমে গুলিস্তানগামী ওই বাসে উঠেছিলেন। বাসটি গুলিস্তানে যাওয়ার পর সব যাত্রী নেমে গেলেও সিটে অচেতন অবস্থায় দেখা যায় তাকে। তখন ওই বাসটি আবার ঘুরিয়ে মিরপুরের দিকে যাওয়ার পথে মৎস্য ভবনের সামনে বাস থেকে তাকে নামিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট ও কোভিড-১৯-এর টিকা কার্ড থেকে তার পরিচয় জানা যায়। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। কোভিড-১৯-এর টিকা নিতে গ্রামের বাড়ি থেকে আজই ঢাকার আসে। একটি হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়েছেনও সে। 

ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অপর দিকে অমিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী আল ফাহাদ ও স্বজনরা জানান, তার বাসা রাজধানীর নারিন্দায়। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী। অমিত গাজীপুর গিয়েছিল। সেখান থেকে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে করে বিকেলে ঢাকায় ফিরছিল। বাসটির শেষ স্টপেজ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছালে তাকে সিটে অচেতন হয়ে বসে থাকতে দেখে অন্য যাত্রীরা। তখন তারা অমিতের কাছে থাকা ফোন দিয়ে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের দুইজনকেই জরুরি বিভাগ থেকে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। এরপর অমিতকে মিটফোর্ড হাসপাতালে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে। তবে ইকরামের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পুলিশই তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। স্বজনরা আসলে তাকে তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। 

তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে বলে জানান তিনি।

Link copied!