• ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩০, ২৫ রমজান ১৪৪৬

যুবলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০২:১১ পিএম
যুবলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা মো. সাইফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মনিরুজ্জামান সুমন ও মো. ইমন। তারা দুজনই মো. সাইফুল ইসলামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, চলতি বছরের ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে সাইফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায় গ্রেপ্তার মনিরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাইফুল নিজে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় ওই দিনই সাইফুলের স্ত্রী ৯ জনকে আসামি করে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

হাফিজ আক্তার আরও জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবির মতিঝিল বিভাগ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে ডিবির সদস্যরা ইতোপূর্বে এই মামলার  চার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা হলেন মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে কচি, রাসেল তালুকদার ওরফে চাপাতি রাসেল, মো. উজ্জ্বল তালুকদার ও মো. আমির হোসেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ডিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, সম্প্রতি গ্রেপ্তার সুমন ও ইমনকেও আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রিপনসহ তিনজন এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাইফুলকে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, সাইফুল ও মামলার আসামিরা ছোটবেলার বন্ধু। একসঙ্গে রাজনীতি করতেন। একপর্যায়ে সাইফুল খিলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলে এবং বাকিরা কোনো পদ-পদবি না পাওয়ায় তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তারা নিজেরা আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে থাকেন। তাদের রেষারেষিতে রিপন গ্রুপের সদস্য বাশার নিহত হন। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি ছিলেন সাইফুল। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। পরে সাইফুল জামিনে মুক্তি পেলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিপন ও সুমন তাদের সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালান।

 

Link copied!