• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

বেড়েই চলছে মুরগির দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১, ১২:২৩ পিএম
বেড়েই চলছে মুরগির দাম

অন্যান্য সময়ের চেয়ে মুরগি ও ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মাছ, সবজি ও মসলার দামও। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বন্যায় অনেক খামার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মুরগি ও ডিমের দাম বেশি বেড়েছে। আবার অনেকে বলছেন করোনাকালীন চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম এবং খামারিরা ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে এমন দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সবজির সরবরাহ কম থাকে। এ কারণে সবজির দাম একটু বাড়তি।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে থেকেই মুরগির দাম চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম আরও একটু বেড়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। কেজিতে সব ধরনের সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে।

ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।

সোনালি মুরগির দাম চলতি মাসে কয়েকবার বেড়েছে। মাসের শুরুর দিকে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগির দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাদেক বলেন, বন্যায় অনেক খামার ভেসে গেছে। ফলে বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। আবার লকডাউন উঠে যাওয়ায় হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে গেছে। বাজারে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।

মুরগির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে এক ডজন ডিম ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজর ও টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙে, চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়স, পটোল, করলা। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা, ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে পটোল, ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে, ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বরবটি পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কাওরান বাজারের মাছ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে রুই, ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে মৃগেল, ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে তেলাপিয়া, ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে পাবদা এবং ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশে বাজার আগের মতো চড়া। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের অপরিবর্তিত রয়েছে।

Link copied!