ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া পৃথক তিন মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এসব মামলায় তার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আভিযোগ গঠন করেন। এ সময় সাংবাদিক কাজল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এর আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য গত ২১ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য ছিল। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। তাকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে ১৮ মার্চ রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর থেকে কাজল কারাগারে আটক ছিলেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুটি আলাদা মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা আরও দুটি মামলায় আসামি করা হয় কাজলকে।