র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। একই দিন অর্থাৎ বুধবার (৪ আগস্ট) গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার নজরুল ইসলাম রাজকে। দুইজনের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিকৃত যৌনাচার সামগ্রীও জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। সংস্থাটি জানায়, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পার্টিতে ‘বিশেষ সঙ্গ’ দিতেন পরীমনি। এতে তাকে সহযোগিতা করতেন রাজ। রাজই পরীমনিকে কোটিপতি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন। রাজের সঙ্গে মিশু হাসান ও জিসান মিলে ১০ থেকে ১২ জন তরুণী নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। তাদের কাজই ছিল উচ্চবিত্ত ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ‘বিশেষ সঙ্গ’ দেওয়া। এই চক্রের তরুণীদের মধ্যে পরীমনির ‘চাহিদা’ ছিল সবচেয়ে বেশি। পরীমনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ‘প্লেজার ট্রিপ’ দিতেন। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন পরীমনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, পরীমনির বাসায় একটা মিনি বার রয়েছে। তার বাসায় প্রায়শই পার্টির আয়োজন হতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যক্তি আসতেন। তার এই কাজে সহযোগিতা করতেন রাজ। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, তার ব্যবহৃত গাড়িটি একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা কিনে দিয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে তার বিশেষ সখ্যতা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব সদর দপ্তর থেকে কালো একটি মাইক্রোবাসে পরীমনিকে বনানী থানায় নেওয়া হয়। পরে তাকে বনানী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করে।
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।