স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “আর একজন রোহিঙ্গাকেও ঢুকতে দেওয়া হবে না। বর্ডারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও যথেষ্ট মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে।”
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারকে কড়া জবাব দিয়েছে বিজিবি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “মিয়ানমারের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বাংলাদেশ। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে জাতিসংঘকে জানানো হবে।”
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হন উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২)। এরপর রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। সেটির বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। এতে আহত হন আরও পাঁচজন।
গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টসংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর মধ্যে দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকেও গোলা নিক্ষেপ করে দেশটি।