বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উধাও হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন গুলশান শাখায় গিয়ে এমন তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন ব্যাংকটির সব শাখার ভল্ট পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকার গরমিলের ঘটনায় ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গুলশান থানায়ও এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে যায়। সকাল ১০টার আগেই তারা শাখায় গিয়ে উপস্থিত হন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শুরুতেই পরিদর্শক দল ভল্ট পরিদর্শন করে। কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও সেখানে ১২ কোটি টাকা পায় পরিদর্শক দল। তাৎক্ষণিক বাকি টাকার বিষয়ে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোনও জবাব দিতে পারেননি। উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করে শাখা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জুন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকার সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিলের বিষয়টি আমি এখনও জানি না। তবে কোনও ব্যাংকের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।”
এর আগে ২০১৩ সালে যে ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশে অনুমোদন পায় সেগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড একটি। প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মালিকানায় ছিল ব্যাংকটি। বর্তমানে ব্যাংকটি পরিচালনা করছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি শিল্পগোষ্ঠী।































