• ঢাকা
  • শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩০, ১০ শা'বান ১৪৪৬

আইন অমান্যে হচ্ছে জরিমানা, ক্ষুব্ধ জনগণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৯:৫২ পিএম
আইন  অমান্যে হচ্ছে জরিমানা, ক্ষুব্ধ জনগণ

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের বেধে দেওয়া সীমিত বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। আইন অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলেই করা হচ্ছে জরিমানা। 

মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে সড়কে রয়েছেন অনেকে। তবে গণপরিবহন না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন কর্মজীবীরা। কর্মক্ষেত্রে যেতে রিকশাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়াও মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া দ্বিতীয় কেউ থাকলে জরিমানা করছে পুলিশ।

স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাস্ক পড়া নিয়েও কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। মালিবাগ এলাকায় মাস্ক না পরায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। 

স্থানীয় পুলিশ বলছে, সরকার নির্দেশিত প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নেই কঠোর অবস্থানে থাকা হচ্ছে। আইন অমান্যের অভিযোগে জরিমানা ও মামলা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে উবার, পাঠাও, সহজসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জারি করা নির্দেশনায় রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম সীমিত সময়ের জন্য স্থগিত করেছে। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

তবে রাজধানীর সড়কে কোথাও কোথাও মোটরসাইকেল চালকরা নির্দিষ্ট ভাড়ায় যাত্রী তুলছেন। সকালে মোটরসাইকেলে একের অধিক যাত্রী দেখলেই চালকদের জরিমানায় আওতায় আনে পুলিশ। তবে অনেকেই পরিচিতদের নিয়ে গন্তব্যে পৌছে দিতে গেলেও জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণরা।

কারওয়ান বাজার এলাকায় বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মোশাররফ বলেন, "সকালে সহকর্মীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ব্যাংকে এসেছি। রাস্তায় পুলিশ হাজার টাকা জরিমানা করে দিল। অফিস খোলা রেখে লকডাউন কেন দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তারা বোঝে না।"

ট্রাফিক পুলিশের ধানমন্ডি জোনের উপ-কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, "হয়রানি নয়, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া আরোহী বহনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।"

এর আগে সোমবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন না করা যাবে না। লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তি রাইড শেয়ার করছেন। অথবা কেউ কেউ পেশাগত কারণেও রাইড শেয়ার করছেন। ফলে একই হেলমেট বারবার বিভিন্ন মানুষ ব্যবহার করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

Link copied!