• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুরোনো শীত পোশাক পরবেন? আগে যা করতে হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
পুরোনো শীত পোশাক পরবেন? আগে যা করতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

শীতের পোশাকগুলো সাধারণত বছরের বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করা হয় না। দীর্ঘদিন আলমারি বা স্তুপে জমা হয়ে থাকে। যার কারণে ধুলো-ময়লা, দুর্গন্ধ কিংবা পোকামাকড় হতে পারে। তাই শীত আসার আগেই পুরোনো শীত পোশাক পরিষ্কার ও প্রস্তুত করা জরুরি। সঠিক যত্ন ও প্রস্তুতির মাধ্যমে পুরোনো এসব পোশাকগুলোর আরামদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। তাই পরার আগে কিছু করণীয় রয়েছে।

আলমারি থেকে বের করা এবং বাছাই

পুরোনো শীত পোশাক আলমারি থেকে বের করার পর প্রথমেই বাছাই প্রক্রিয়া চালান। প্রতিটি পোশাক ভালোভাবে দেখুন। কোনো দাগ, ছিদ্র, বা নষ্ট অংশ থাকলে তা চিহ্নিত করুন। যেসব পোশাক ভালো অবস্থায় আছে এবং পরার উপযোগী, সেগুলো আলাদা করুন। নষ্ট বা অপ্রয়োজনীয় পোশাক দান বা পুনর্ব্যবহারের জন্য রেখে দিন।

পরিষ্কার ও ধোয়া

পুরোনো শীত পোশাক দীর্ঘদিন ব্যবহারের বাইরে থাকে। তাই ধুলো, ময়লা কিংবা দুর্গন্ধ জমতে পারে। তাই সেগুলো ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনে ধোয়ার আগে লেবেল দেখে বুঝুন, কীভাবে সেগুলো ধুতে হবে। যেমন উলের কাপড় হাত দিয়ে ধোয়া ভালো। ভারী এবং সংবেদনশীল পোশাক, যেমন উলের কোট বা ব্লেজার ড্রাই ক্লিনিং করানো উত্তম। যদি কোনো দাগ থাকে, তবে দাগ তোলার জন্য সঠিক ডিটারজেন্ট বা স্পট রিমুভার ব্যবহার করুন।

রোদে শুকানো ও বাতাসে রাখা

শীত পোশাক দীর্ঘদিন আটকে থাকে বলে দুর্গন্ধ হতে পারে। ধোয়ার পর পোশাকগুলো সরাসরি সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নিন। পোশাক থেকে ব্যাকটেরিয়া ও দুর্গন্ধ দূর হবে। ভারী বা ড্রাই ক্লিন করা পোশাকগুলো রোদে না দিয়ে বাতাস চলাচলের জায়গায় ঝুলিয়ে রাখুন।

পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা

পুরোনো কাপড়ে পোকামাকড়ের সমস্যা হতে পারে, বিশেষত উলের বা পশমের কাপড়ে। ল্যাভেন্ডার ব্যাগ, নিমপাতা বা ন্যাফথালিন ব্যবহার করে পোশাকগুলো পোকামাকড়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়। শীত কাপড়ের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা দেখে সেগুলো মেরামত করুন।

মেরামত ও ফিটিং পরীক্ষা

কোনো ছেঁড়া অংশ থাকলে তা সেলাই করুন। যদি ফিতার সমস্যা থাকে, তাহলে তা প্রতিস্থাপন করুন। এক বছর ব্যবহারের বাইরে থাকার কারণে পোশাকের মাপ পরিবর্তিত হতে পারে। প্রয়োজনে টেইলরের কাছে নিয়ে গিয়ে সঠিক মাপ করিয়ে নিন।

ইস্ত্রি এবং স্টিমিং

শীতের পোশাক দীর্ঘদিন ভাঁজ করা অবস্থায় থাকলে সেগুলো কুঁচকে যেতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী কম তাপে ইস্ত্রি করুন। উলের বা সেনসিটিভ কাপড় ইস্ত্রি করার সময় কাপড়ের ওপর পাতলা কাপড় দিয়ে নরমাল তাপে ইস্ত্রি করুন। ভারী এবং কুঁচকে যাওয়া পোশাকগুলোর জন্য স্টিমিং ব্যবহার করুন। এটি কাপড়কে সতেজ করে তোলে। পুরোনো কাপড় থেকে অনেক সময় গন্ধ আসতে পারে। তাই শীত পোশাকে হালকা ফ্যাব্রিক ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে গন্ধ দূর করতে স্প্রে করতে পারেন।

সংগঠিতভাবে সাজানো

যেসব পোশাক পরিষ্কার ও প্রস্তুত হয়ে গেছে, সেগুলো আবারও আলমারিতে সাজিয়ে রাখুন। সোয়েটার, কোট, মাফলার, বা গ্লাভস আলাদা আলাদা বিভাগে রাখুন। ভারী কোট বা ব্লেজার হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন যাতে এগুলো ভাঁজ না পড়ে।

অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজনীয়তা

পশম, সিল্ক বা উলের কাপড় আলাদা আলাদা কভারে সংরক্ষণ করুন। বৃষ্টির দিনে ব্যবহার করার জন্য  কোট বা জ্যাকেটে পানি নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

পুরোনো কাপড়ের নতুনত্ব

যদি কোনো পুরোনো শীতের পোশাক ভালো অবস্থায় না থাকে, তবে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুনত্ব আনা সম্ভব। ফিকে হয়ে যাওয়া পোশাক নতুন রঙ দিয়ে নতুন করে ব্যবহার করতে পারেন। নতুন বোতাম, প্যাচ বা আলংকারিক উপাদান যোগ করে পোশাকের আকর্ষণ বাড়ানো যায়।

Link copied!