• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ০২:৩১ পিএম
শীতে ঘর উষ্ণ রাখার উপায়
শীতে ঘর উষ্ণ রাখা দরকার। ছবি : সংগৃহীত

শীতের সময় চলছে বলা যায়। চারদিকে এখন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে। রোদের দেখা মিললেও ঠান্ডা বাতাস ছড়াচ্ছে সারাক্ষণ। এই ঠান্ডা ঘরেও বিরাজ করে। মোটকথা বাইরে যেমন শীতল পরিবেশ থাকে তেমনি ঘরের ভেতরও ঠান্ডা হয়ে যায়। এটাই স্বাভাবিক। বাইরের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড়, সোয়েটার, লেপ কম্বলের ব্যবহার তো রয়েছেই। কিন্তু ঘরের ভেতরটাও গরম রাখা চাই। তার কিছু উপায় আজ জানিয়ে দেবো চলুন-

জানালা খুলে রাখুন

ঠান্ডা বাতাস থেকে বাঁচতে আমরা দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখি। কিন্তু ঘর গরম রাখা এবং বিশুদ্ধ বাতাস আসা-যাওয়ার জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখা খুব জরুরি। সেটি শীত হোক বা গ্রীষ্ম। সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের জানালা খুলে দিন। এতে সূর্যের আলো ও তাপের সর্বোচ্চ ব্যবহার পাওয়া যাবে ঘরে। 

আপনার শরীরও বাহিরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। যদি সম্ভব হয় জানালার যে অংশ দিয়ে সূর্যের আলো ঢোকে, তার বিপরীত দেয়ালে একটা আয়না বসান। সূর্যের আলো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে ঘরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেবে। তবে বিকেলের মধ্যে জানালা বন্ধ করে রাখুন।

রুম হিটার
শীতে ঘর উষ্ণ রাখতে সবার যে জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটি হলো রুম হিটার। বাজারে বিভিন্ন ধরনের রুম হিটার পাওয়া যায় সেখান থেকে ভালো মানের একটি এনে সেট করে নিতে পারেন।

জানালায় ভারী পর্দা 
রোদ থাকা অবস্থায় পর্দা খুলে রাখলে ঘরে আলো ঢুকবে, কিন্তু রাতে পর্দা দিয়ে রাখাই ভালো। রাতে পর্দা থাকলে দিনের উষ্ণতা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে না। ফলে ঘর গরম থাকবে। পর্দার রং উজ্জ্বল হলে ভালো। যেমন- লাল, কমলা, নীল, এসব রঙ তাপ কুপরিবাহী। তাপ পর্দার মধ্য থেকে বের হতে পারে না। অনেকের কাছেই ব্যবহারের জন্য ২-৩ ধরনের পর্দা থাকে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে এক জোড়া পর্দা আলাদা করে রেখে দিতে পারেন।

দেয়ালের রং ব্যবহার
উজ্জ্বল রং তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে। তাই শীতকালে যদি দেয়ালে উজ্জ্বল রং করানো যায়, তাহলে তা তাপমাত্রা আবদ্ধ করে রাখতে সক্ষম হবে। কারণ, উজ্জ্বল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। 

ঘর রং করানো ঝামেলাপূর্ণ মনে হলে ডেকোরেশনেও পরিবর্তন আনতে পারেন। বিছানার চাদর, সোফার কভারে নিয়ে আসুন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। ঘরে বড় লাইটের পরিবর্তে ছোট ছোট এলইডি বা বাল্ব লাগাতে পারেন। এতে ঘরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রাও বেড়ে যাবে।

কার্পেটের কার্যকারিতা
শীতের সময় মেঝে ঢেকে দিন কার্পেট বা শতরঞ্জি দিয়ে। এটি ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখবে। বর্তমানে পাটের তৈরি নানা আধুনিক কারুকাজের চাটাই পাওয়া যায়। যা ঠান্ডা ছড়াতে বাধা দেয়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার
অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল শীতে ঘরের উষ্ণতা রক্ষায় চমৎকার কার্যকরী উপায়। অ্যালুমিনিয়াম খুব ভালো তাপ পরিবাহক হিসেবে কাজ করে। এমনকি তাপ প্রতিফলনের ক্ষেত্রেও এটা দারুণভাবে কাজে আসে। শীতকালে ঘর গরম রাখতে ফয়েল পেপার ব্যবহারের বিকল্প নেই। 

শীতে রান্নাঘরের দেয়ালে, বিশেষ করে চুলার আশেপাশে কিছু ফয়েল পেপার লাগিয়ে রাখুন। অ্যালুমিনিয়ামের প্রতিফলন ক্ষমতার কারণে দেয়ালের মধ্যে দিয়ে তাপ চলে যেতে পারে না। বরং ঘরে প্রতিফলিত হতে বাধ্য হয়। যার কারণে ঘরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ঘর উষ্ণ হয়।

বাবল র‍্যাপ ব্যবহার
শীতে ঘর উষ্ণ রাখতে বাবল র‍্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বাবল র‍্যাপ শীতকালে ঘর গরম রাখার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। বাতাসের যেহেতু তাপ আটকে রাখার ক্ষমতা আছে, বাবল র‍্যাপও তাই ঘর উষ্ণ রাখতে দারুণভাবে কাজে আসতে পারে। তাই ঘরে তাপমাত্রা ধরে রাখতে চাইলে জানালায় একটি করে বাবল র‍্যাপের শিট ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।

আয়নার ব্যবহার
জানালা যদি বড় হয় তবে তার পাশে ৩০ডিগ্রি কোণে কাত করে আয়না রাখতে পারেন। কাঁচ আলোর প্রতিফলন ঘটিয়ে আলোকশক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করবে। এইভাবে ঘরের উষ্ণতা বাড়াতে পারেন।

Link copied!