• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩০, ১৩ শা'বান ১৪৪৬

সৃজনশীল করবে যে ৫টি শখ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম
সৃজনশীল করবে যে ৫টি শখ

শখ মানুষের মনকে পুলকিত করে। আবার শখে প্রতিফলিত হয় সৃজনশীলতাও। কারণ একটি মানুষের মননের পরিচায়ক হচ্ছে শখ। শখের কাজগুলো কখনো কখনো ছেলেমানুষি মনে হয়। কিছু শখ রয়েছে যেগুলো শুধু সময় কাটানোর জন্যই হয়। তবে মাঝে মাঝে সেই শখই উপার্জনের উৎস হয়ে উঠে। শখের কাজগুলো মানুষ মন দিয়ে করে। তাই মানুষের সৃষ্টিশীলতা সুচারু রূপে ফুটে উঠার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে শখের কাজগুলো। শুধু তাই নয়, শখ বাড়িয়ে তোলে জ্ঞানের পরিধিও।

সৃজনশীল কিছু  শখ রয়েছে। যার মধ্যে মানুষ আনন্দ খুঁজে পায়। যার মাধ্যমে নতুনত্বের স্বাদও নিতে পারে। এমন ৫টি সৃজনশীল শখের কথা জানাব এই আয়োজনে।


সংগীতচর্চা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো

সংগীত ও সুর আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। মন ভালো হোক বা খারাপ, উল্লাস হোক বা হতাশ, আমরা গান শুনে সেই অনুভূতিকে উদযাপন করি। কখনো কখনো শুধু গান শুনেই কাটিয়ে দেই অলস সময়গুলো। কারণ সংগীত ও সুরের এমন এক উদ্দীপক রয়েছে, যা মানুষের মন ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সময় কাটাতে সংগীতচর্চা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানোকে শখে পরিণত করে নিতে পারেন।

শুধু সময় কাটানো নয়, সংগীত বা বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চর্চা করা মানুষের মনের বিকাশেও সাহায্য করে। বিজ্ঞানীদের মতে, সংগীত চর্চা মানুষের ভাষাগত দক্ষতা বাড়ায়। পরিচিত হওয়া যায় নতুন নতুন ভাষার সঙ্গে। পাশাপাশি সুরের প্রতি অনুভূতি প্রখর হলে অন্যের আবেগকে সহজে বুঝে অনুভব করা যায়। এছাড়া বাদ্যযন্ত্র বাজানোর চর্চা করলে ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায় তৈরি হয়।


বই পড়া

বই পড়া অনেকেরই শখ। বই মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে। এই কথা সবারই জানা। তবে এর বাইরে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও বই পড়ার বড় ভূমিকা রয়েছে। এটি বিস্তৃত করে চিন্তার জগৎ। যে কোনো সমস্যায় পড়লে সহজেই সেটির সমাধান করা যায়। এছাড়া বই পড়লে ভালো এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি কাজ করে মানুষের মধ্যে। চিন্তাভাবনাগুলো ইতিবাচক হয়। একঘেয়ামি জীবনে আসে বৈচিত্র। এখন থেকেই পাঠ্যবইয়ের বাইরে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ পড়ার অভ্যাস করুন। শখে পরিণত করুন সেই অভ্যাসকে।

লেখালেখি করা

ছোটবেলায় ডায়েরি লেখেনি এমন মানুষ কমই আছেন। অনুভূতিগুলোকে কাগজের পাতায় স্মৃতি করে রাখার অভিজ্ঞতা হয়তো সবারই রয়েছে। লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অনুভূতি ও চিন্তাগুলোকে প্রকাশ করা যায়। এই কাজটি কিন্তু সহজ বিষয় নয়।  যারা এই কাজটি করতে পেরেছেন  তারা বাস্তব জীবনে অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। কারণ প্রতিনিয়ত লেখালেখি করলে ভাষাগত দক্ষতা যেমন বাড়ে, তেমনি মানসিকভাবেও পাওয়া যায় প্রশান্তি। আবার যারা লেখালেখিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন তারা সমাজে আলাদাভাবেই সমাদৃত। তাই লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন আপনিও। কে জানে, হয়তো একদিন আপনিও বড় কোনো লেখক বনে যাবেন।


ভ্রমণ

ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। নাগরিক জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে এবং ক্লান্তি দূর করতে বেশ ভালো কাজ করে এটি। ঘুরতে গেলে  মানুষের মনে প্রশান্তি আসে। সেই সঙ্গে সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশ সম্পর্কে জানা যায়। নতুন মানুষ, নতুন সংস্কৃতি, নতুন ভাষার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। প্রসারিত হয় চিন্তাভাবনা।


নতুন ভাষা শেখা

যেকোনো নতুন কিছু শেখার মধ্যেই আনন্দ রয়েছে। এবার সেটি কোনো কাজ হোক বা ভাষা। আপনি যখন আপনার পরিচিত ভাষার বাইরে অন্য কোনো ভাষায় কথা বলবেন, তখন স্বভাবতই অন্যরা চমকে যাবে। কারণ নতুন একটি ভাষা আয়ত্ত্ব করা সহজ কোনো বিষয় নয়। তবে নতুন কোনো ভাষা শিখলে সেই ভাষার মানুষদের শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায়। আর কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তো রয়েছেই।

Link copied!