চলমান আগ্রাসন নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন সমাঝোতার দ্বারপ্রান্তে আছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। আশা করি উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হবে।”
রোববার (২০ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আশা ব্যাক্ত করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। দুই পক্ষ বর্তমান অবস্থান থেকে এক ধাপ পিছিয়ে না গেলে আমরা যুদ্ধবিরতির জন্য আশাবাদী।”
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর বেলারুশে একাধিক বৈঠক করে দুই পক্ষ। কিন্তু কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্নত আসেনি। এরপরই তুরস্কে মিলিত হয় মস্কো ও কিয়েভ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ইউক্রেনের দিমিত্রো কুলেবা। মধ্যস্থতাকারী স্বাগতিক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই আলোচনায় সুনির্দিষ্ট ফলাফল আসেনি। পরে গত সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরে গিয়ে দেশ দুইটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
এরপর ইউক্রেন ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আলোচনা করেন। এ সময় পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান এরদোয়ান। এ ধরনের আলোচনার জন্য দুই নেতাকে আতিথ্য দিতে তুরস্কের আগ্রহের কথাও জানান তিনি।
দুই নেতার ফোনালাপ শেষ হওয়ার পর এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ও মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন। উভয় নেতার ফোনালাপ যে অল্প সংখ্যক কর্মকর্তারা শুনেছেন তাদের একজন ইব্রাহিম কালিন। তার মতে, রাশিয়ার প্রথম চারটি দাবি পূরণ করা ইউক্রেনের পক্ষে খুব কঠিন নয়।
এর মধ্যে প্রধান দাবি হলো, ইউক্রেনকে এটা মানতে হবে যে, তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করা উচিত নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যেই এই বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। বাকি দাবিগুলোতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যাতে দেশটি রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায়। ইউক্রেনে রাশিয়ান ভাষার জন্য সুরক্ষা থাকতে হবে। আর ডি-নাজিফিকেশন বলে একটা ব্যাপার আছে।