মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে গাড়িচাপায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। এই ঘটনার নিন্দা করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
ইয়াঙ্গুনের ‘নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকের উপর হামলার’ সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘের সমন্বয়ক রামানাথান বালাকৃষ্ণান। জনসাধারণের ওপর এমন দমন–পীড়ন বন্ধেও আহ্বান জানান তিনি।
মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, “ইয়াঙ্গুনে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালানো ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীকে হত্যার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। বার্মার জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকারকে সমর্থন জানাচ্ছি আমরা।”
রোববার (৫ ডিসেম্বর) মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি চাপায় পাঁচজন নিহত হয়। বিক্ষোভ থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়াও রবিবার সকালে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে সহিংসতা সত্ত্বেও বিকেলে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় নিউজ পোর্টাল মিয়ানমার নাউ-এর বরাতে এই খবর জানায় রয়টার্স।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভের পেছনের দিক থেকে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি তাদের উপর তুলে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তাদের মারধর ও গ্রেপ্তার শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় মাথায় গুরুতর আঘাত পান আন্দোলনরত কয়েকজন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতেও এসব দৃশ্য দেখা যায়।