যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টর্নেডোর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেন্টাকিতেই মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় রয়টার্স।
রোববার কেন্টাকির মেফিল্ডের মেয়র টুইট করে পরিস্থিতির কথা জানান। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
টর্নেডোর আঘাতে সবকটি রাজ্য মিলিয়ে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় রোববার দেশটির অনেক রাজ্যে শোকদিবস পালন করা হয়।
শুক্রবার রাতে মিসৌরি, টেনেসি ও মিসিসিপিসহ কমপক্ষে ছয়টি রাজ্যে ৩০টির বেশি টর্নেডো আঘাত হানে। সিএনএন জানায়, টর্নেডোতে আরকানসাস থেকে কেনটাকি পর্যন্ত ২৫০ মাইলের বেশি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।
টর্নেডোর মাঝে ইলিনয়তে আমাজন কোম্পানির গুদামের ছাদ ধসে পড়ে। এছাড়াও আরকানসাসের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও আংশিক ধসে পড়ে।
কেনটাকি সিটিরর দক্ষিণ-পশ্চিমে মেফিল্ড কনজিউমার প্রোডাক্টস নামের এক মোমবাতি কারখানায় আঘাত হানে টর্নেডো। এ সময় প্রায় ১১০ কর্মী কাজ করছিলেন।
ঝড়ে বিধ্বস্ত কারখানাটিতে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী শহর ডসন স্প্রিংসেও টর্নেডোর আঘাতে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।