যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক অ্যান্ড কোম্পানির করোনার ট্যাবলেট মলনুপিরাভির তৈরি করবে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৩০টি ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো এই ট্যাবলেটের সস্তা সংস্করণ তৈরি করবে বলে জানা গেছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে কম দামে পাওয়া যাবে ওষুধটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, করোনা মহামারি রোধে দরিদ্র দেশগুলোতে ওষুধ পৌঁছে দিতে জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তির অধীন এই ট্যাবলেট তৈরি হবে। বাংলাদেশেও তৈরি হবে ট্যাবলেটটি। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারতের ন্যাটকো ফার্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাসপেন ফার্মাকেয়ার হোল্ডিংস ও চীনের ফসুন ফার্মা এই ট্যাবলেট উৎপাদন করবে।
মলনুপিরাভির উৎপাদনে মার্কের এই সবুজসংকেত ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের জন্য বিরল উদাহরণ। মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের প্যাটেন্ট অধিকার সুরক্ষিত রাখে, অন্য কোম্পানিকে তা দিতে চায় না। কিন্তু মহামারির মধ্যে কম দামে ওষুধ বিক্রি করায় স্বত্বও দাবি করবে না কোম্পানিটি। এ-সম্পর্কিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তবে ট্যাবলেটটি অনুমোদনে দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। তাই বহু দেশে এটি সরবরাহে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানান।
এমপিপি বলছে, চুক্তির শর্তানুসারে ১০৫টি স্বল্পোন্নত দেশে মলনুপিরাভির বিতরণ করা হবে। ৫ দিনের জন্য ৪০টি বড়ির মলনুপিরাভির কোর্স নির্ধারণ করা হয়েছে। দরিদ্র দেশগুলোর যার দাম হবে ২০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা হবে ১ হাজার ৭১৯ টাকা।
নতুন চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ১১টি দেশের ২৭টি জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে তৈরি হবে এই ওষুধ। এগুলোর মধ্যে ৫টিতে পাওয়া যাবে মলনুপিরাভিরের কাঁচামাল। ১৩টি কোম্পানি কাঁচামাল ও ওষুধ তৈরি করবে। আর ৯টিতে শুধু ওষুধটি তৈরি করা হবে।
এমপিপির মুখপাত্র বলেন, চুক্তির অধীন কোনো কোনো কোম্পানি ফেব্রুয়ারিতেই মলনুপিরাভির উৎপাদন শুরু করবে। পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকতে হবে।