২৯শে নভেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পরামানু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ বিশ্ব পরাশক্তির দেশ। তবে এর আগে একের পর এক মহড়া চালাচ্ছে ইসরায়েল।
বিবিসি জানায়, সম্প্রতি লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে যৌথ মহড়া দিয়েছে ইসরায়েল, সংযুক্ত আব আমিরাত ও বাহরাইনের নৌবাহিনী। এর আগে ইসরায়েলের বন্দর নগরী ইলাতের মরুভূমিতে মহড়া চালায় ইসরায়েলসহ ৮টি দেশের যুদ্ধবিমান।
অত্যাধুনিক যুদ্ধপ্রযুক্তি নিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইরানও। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন পরস্পরকে সতর্কবার্তা পাঠানো ও কৌশলগত জোটের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতেই এই মহড়া চালাচ্ছে দুই দেশ।
ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার চালানোর জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করতে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারাও ইরানকে নানান হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন “ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর কোন আগ্রহ নেই ইসরায়েলের। তবে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে দিব না আমরা।”
তাই ধারণা করা হচ্ছে ইরানের চাপে রাখতে ও দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতির ঠেকাতেই এসব মহড়া চালাচ্ছে ইসরায়েল।